নিহত সুমির স্বামী অভিযোগ করে বলেন, চিকিৎসার জন্য রোববার সকাল ১১টার দিকে সুমিকে জরুরী ভাবে মেরিস্টোপস ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে ভর্তির পর জরুরীভাবে সিজার করতে হবে বলে জানান কর্তৃপক্ষ।পরে বিকাল ৪টারদিকে অপারেশন থিয়েটারে ছিলেন হাসপাতালের ডা.সাজেদা খাতুন ও এনেথেসিয়া ডা.মনির হোসেন। কোনো ধরনের পরীক্ষা না করেই তারা রোগীর শরীরে এনেসথেসিয়া ইনজেকশন দেন ও সিজার করেন। এতে জমজ বাচ্চা (একটি ছেলে ও মেয়ে) জন্ম হয়। যদিও আরো ৪দিন পরে সিজার করার কথা ছিলো।এদিকে সিজার করার পর সুমির প্রচন্ড রক্তক্ষরনে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাহিরে গেলে মেরিস্টোপস্ হাসপাতাল থেকে মিডফোর্ট হাসপাতালে রোগীকে প্রেরন করে। মিডফোর্ট হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার সুমিকে মৃত্যু ঘোষনা করে।
এদিকে মেরিস্টোপস্ হাসপাতালে গেলে দেখা যায়, নানা রকমের অনিয়মের অভিযোগ। দেখা যায় অপারেশন হওয়া রোগীদের ভর্তি ফরমে নাম ঠিকানা কিছুই নেই। আরো দেখা যায়, অস্ত্রপচারের সম্মতি পত্রেও নাম ঠিকানা ও স্বাক্ষর নেই। এসময় হাসপাতেল অন্য রোগীর অভিভাবকরাও অভিযোগ করে বলেন, গতকাল সিজার হয়েছে , সিজার হওয়ার পর থেকে আজ এখন পর্যন্ত কোন ডাক্তার আসেনি।
এসব বিষয় জানতে চাইলে কর্তব্যরত ডাক্তার ফাতেমাতুজ জোহরা মুক্তা প্রথমে কথা বলতে না চাইলেও পরে জানান, এই হাসপাতালে সব ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থা নাই তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে মিডফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয় । তিনি আরো বলেন, রোগী সেখানেই মারা যায়। তবে মিডফোর্ড হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার বলেন, রোগী আগেই মারা গেছে।